চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরকার পতনের এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করেছে সরকার। রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলা এ কারফিউ প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনের সমন্বয়করা।
আজ রোববার (৪ আগস্ট) ফেসবুকে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এই ঘোষণা দেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘এক দফার পর আর তাদের কোনো আদেশ কার্যকর থাকে না। সেজন্য সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ঘোষণা করা কারফিউকে বাতিল ঘোষণা করা হলো।’
আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আজ রাজপথে পরাজিত হয়ে পলায়নপর শক্তি আওয়ামী লীগ এখন সেনাবাহিনী ও জনগণকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে কারফিউ ঘোষণা করেছে। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দিয়ে আন্দোলন দমনের চেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান থাকবে আওয়ামী লীগের ফাঁদে পা দিয়ে জনগণের মুখোমুখি দাঁড়াবেন না। প্রতিটি সেনা সদস্যের প্রতি আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার আহ্বান থাকবে দেশের ও জনগণের পক্ষাবলম্বন করুন। খুনি হাসিনার আদেশে কোনো কারফিউ ছাত্র-জনতা মানে না। আমাদের আন্দোলন ও কর্মসূচি চলমান থাকবে। ’
এর আগে, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সান্ধ্য আইন জারি করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. শরীফ মাহমুদ অপু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সকল বিভাগীয় সদর, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন জারি করা হলো।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের পক্ষ থেকে শনিবার সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে অসহযোগ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।