গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লার চর, ঘাগোয়া, কামারজানি ও গিদারি ইউনিয়নে বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়া ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহাদৎ হোসেন।
মঙ্গলবার সদর উপজেলার বাংলাবাজার কৃষি অফিস সংলগ্ন গোডাউন থেকে কৃষকদের হাতে সহায়তা প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহাদৎ হোসেন দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রাকে বলেন, গাইবান্ধা সদরের ১৩ টি ইউনিয়নের মধ্যে কামারজানি, মোল্লার চর, ঘাগোয়া ও গিদারি ইউনিয়নে উজান থেকে নেমে আসা নদীর পানি ও ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় প্রায় ৪০০ হে. ফসলি জমি আক্রান্ত হয়, ফলে আক্রান্ত জমির ফসল উৎপাদন হ্রাসের সম্ভাবনা আছে।
উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন এলাকার জরিপ করে দেখা গেছে
এবারের বন্যায় আউশ ধান ৯০ হেক্টর, আমন বীজতলা ৬৫ হেক্টর, পাট ৩২০ হেক্টর ও বিভিন্ন শাক সবজি ৫৫ হেক্টর জমি পানির নিচে তলিয়ে সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট হয়ে গেছে।এতে করে ৪৯৫৪ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয় ।সব মিলিয়ে ১৬০৬ (মেঃটন) ক্ষয়ক্ষতি হয়,যার বাজার মুল্য অনুমানিক ৮ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা।
ইতিমধ্যে উৎপাদিত ফসলের ক্ষতিগ্রস্তর কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করে প্রনোদনা কর্মসুচির আওতায় কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে এছাড়াও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন শাক সবজির বীজ সহায়তা প্রদান চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ময়লা,আবর্জনা পরিস্কার করে নিমজ্জিত ফসল,গাছের পাতায় জমে থাকা কাদা পরিস্কারের জন্য পরিস্কার পানি দিয়ে স্প্রে করতে হবে, উচু জমিতে আমন বীজতলা তৈরী করতে হবে।
যে সকল ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের জমিতে রোপা আমন চাষের সুযোগ নেই তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামি রবি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসুচির আওতায় সরিষা,গম,ভুট্টা,বোরো চাষে বীজ ও সার দেওয়া হবে।