বগুড়ার আদমদীঘিতে পৈতিক সম্পত্তিতে আম পাড়তে গিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন বেআইনি জনতায় দলবদ্ধ হয়ে বাঁধা প্রদান, মারপিটে মা ছেলে আহত,মহিলার শ্লীলতাহানি ও গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়া ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত ২৯ জুলাই রাতে আদমদীঘি উপজেলার বেজার গ্রামের সাইম হোসেন বাদি হয়ে আদমদীঘি থানায় এই মামরা দায়ের করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন, একই গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যন গোলাম সারওয়ার, তার ছেলে মোস্তফা সারওয়ার সাবু, গোলাম সারওয়ার বুলবুল, পুত্রবধু স্বর্না বিবি ও নুরজাহান অলি। এদের মধ্যে গোলাম সারওয়ার বুলবুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করে।
মামলা সুত্রে জনাযায়, আদমদীঘির চাঁপাপুর ইউপির বেজার গ্রামের সাইম হোসেন সম্প্রতি তার দাবীকৃত পৈত্রিক বসতবাড়ির পুকুর পাড়ে বাদি ও তার মা সুফিয়া খাতুন আম গাছে আম পাড়তে যান। এসময় উল্লেখিত এজাহাবুক্ত আসামীসহ আরো অনেকে বেআইনি জনতায় দলবদ্ধ হয়ে লাঠি সোডায় সজ্জিত হয়ে ওই পুকুর পাড়ে এসে আম পাড়তে বাঁদা দেন। আম পাড়তে কেন বাঁধা দেয়া হচ্ছে বিষয়টি জানতে চাইলে প্রতিপক্ষরা কিপ্ত হয়ে বাদি সাইম হোসেন ও তার মা সুফিয়া খাতুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারপিটে জখম করে। তাদের মারপিটে বাদি সাইম হোসেনের দাঁত নড়ে যায়। এসময় তার মা সুফিয়া খাতুন এগিয়ে এলে তাকে মারপিটে আহত করে গলার সোনা চেইন ছিনিয়ে নিয়ে পড়নের কাপড় টানাহেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করান। এদের মধ্যে সুফিয়া খাতুনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পর আহতদের চিকিৎসা শেষে বিলম্বে গত ২৯ জুলাই থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বাদি সাইম হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামী গোলাম সারওয়ার বুলবুল আদালত তৃক জামিনে মুক্তি পেয়ে সে ও অপর আসামীরা তাদের নানা ভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ফলে তারা নিরাপত্তাহিন অবস্থায় বাড়িতে বসবাস করছেন।
মামলার তদন্তকারি উপ পরিদর্শক ফেরদৌস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা সরজমিনে তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।