আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন গণগ্রেপ্তারের নামে অপরাধী সাব্যস্ত না হয় সেই ব্যাপারে আমাদের দলেরও সিদ্ধান্ত রয়েছে। কোনো নিরীহ ব্যক্তিকে কোনো অবস্থায় হেনস্তা করা যাবে না। আটকের সংখ্যা বেশি দেখানোর জন্য কোনো নিরীহ ব্যক্তিকে কেউ যেন অতি উৎসাহিত হয়ে গ্রেপ্তার না করে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে কথায় কথায় সরকার ও আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করা হয়। এই ঘটনা প্রবাহে আমরা আওয়ামী লীগের লোকেরা, আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত। আমরা আক্রমণকারী ছিলাম না। আমাদের হাতে অস্ত্র ছিল না। এখন আমাদের আক্রমণকারী বলে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
কিছুদিন ধরে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের আটক করা হচ্ছে— বিএনপি মহাসচিবের এমন কথার জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে আমাদের জানামতে আটক করা হচ্ছে না। নিরীহ তথা সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাতে হয়রানি শিকার না হয় সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে। আমরাও বলব, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তির পথে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান। আওয়ামী লীগ আচার-আচরণে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।
জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা ও নাগরিক সমাজ দাবি করে আসছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির গঠিত গণআদালত ও পরবর্তীতে গণজাগরণ মঞ্চের দাবিও ছিল জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা।
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের রায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত বহাল রেখেছেন উল্লেখ করে কাদের বলেন, দেশের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না থাকলে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমন নজির আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জার্মানীতে হিটলারের নাৎসী বাহিনী রাজনীতি করতে পারে না।