বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সাদ পন্থীদের কার্যক্রম বাতিলের দাবিতে ফুলবাড়ীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত। সান্তাহারে দুস্থ শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত বিতরণ গাইবান্ধা নবাগত নারী পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা কিশোর গ্যাংয়ের হাতে ওষুধ ব্যবসায়ী শামীম হত্যার বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ বাগেরহাটের রামপালে মুক্তিযোদ্ধা জলিল স্মরণে আমাদের গ্রাম’র ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প বাগেরহাট থেকে আটক হলো জাহাজে ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি ফুলবাড়ীতে ১৯৯ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক কারবারী আটক গাইবান্ধায় ১ হাজার দুস্থ মানুষ পেলেন শীতবস্ত্র গাইবান্ধায় বড় দিন উদযাপিত দুপচাঁচিয়ায় ট্রান্সফরমার চোর সদস্যের দুই সদস্য গ্রেপ্তার সহ মালামাল উদ্ধার

হারানো মোবাইল ফোন খুঁজে দিচ্ছেন এসআই বকুল

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪
  • ৩০৭
হারানো মোবাইল ফোন খুঁজে দিচ্ছেন এসআই বকুল
হারানো মোবাইল ফোন খুঁজে দিচ্ছেন এসআই বকুল

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার থেকে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করে দিচ্ছেন ফাঁড়ি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বকুল হোসেন। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় তিনি জমজ দুই ভাইয়ের হারিয়ে যাওয়া দুটি মোবাইলফোন একইসাথে উদ্ধার করে তাদের হাতে তুলে দেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন এলাকা থেকে হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের জিডির সূত্র ধরে এ পর্যন্ত তিনি প্রায় এক হাজার মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

মাত্র এক সপ্তাহারে মধ্যে হারানো ফোন ফিরে পেয়ে রনি ও জনি দুই জমজ ভাই বলেন, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আরাফাত নামের এক কর্মচারি দুই ভাইয়ের দুটি মোবাইল ফোন চুরি করে পালিয়ে যায়। পরের দিন থেকে সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বকুল হোসেন চুরি যাওয়া মোবাইলগুলো উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেন। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে জাদুকরের মতো তিনি দুটি ফোন উদ্ধার করে আমাদের হাতে তুলে দেন। আমরা দুই ভাই পুলিশের এসআইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ।

রোকনুজ্জামান নামের আরেকজন বলেন, কয়েকমাস আগে আমার ফোনটি সান্তাহার থেকে হারিয়ে যায়। এরপর অনলাইনে জিডি করে কপি থানায় দেই। আমি কখনো ভাবতেও পারিনি মোবাইল ফোনটি আর ফিরে পাব। হঠাৎ একদিন এসআই বকুল আমাকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে হারিয়ে যাওয়া ফোনটি বুঝিয়ে দেন। হারানো মোবাইল ফোনটি ফিরে পেয়ে আমি অনেক খুশি।

এস আই বকুল হোসেন বলেন, এ কাজটি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। হারানো কোন কিছু ফিরে পেয়ে মানুষ যে আনন্দ পায় এটাই আমার বড় প্রাপ্তি এবং সাফল্য। গত দশ বছরে এক হাজারেরও অধিক ফোন উদ্ধার করেছি। ফাঁড়িতে যোগদানের মাত্র ৬মাসে অর্ধশতাধিক মানুষের হারানো ফোন উদ্ধার করে দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, হারানো ফোনের মালিক থানায় জিডি করার পর কাজ শুরু করি। নানান যাচাই-বাছাইয়ের পর যখন নিশ্চিত হই ফোন কে ব্যবহার করছে, তখন উদ্ধারে যাই। যদি আমার নিজের থানা এলাকার মধ্যে হয়, তখন আমি নিজে দলসহ যাই। যদি আমার থানার বাইরে হয় সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসারদের সাহায্য নেই। অনেক সময় চেয়ারম্যান, মেম্বার বা চৌকিদারদের সাহায্য নিয়ে, তাদের মাধ্যমে উদ্ধার করে ফেরত নিয়ে আসি।

এদিকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দেয়ায় ফাঁড়ি পুলিশকে ধন্যবাদ জানান মালিকরা। আর প্রশংসায় ভাসতে শুরু করেছেন এই উপপরিদর্শক।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com