রংপুরের পীরগঞ্জে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে অন্তত আরও ৩০ জন। আহতদের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে পীরগঞ্জের বিশমাইল নামক স্থানে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার কমলসিন্দুর গ্রামের বাসিন্দা ফারুক হোসেন (৩৬) ও তার আড়াই বছর বয়সী শিশুপুত্র ইশরাত ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোলায়মান শেখ জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে মহাসড়কের বিশমাইল নামক স্থানে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী অপু ক্লাসিক পরিবহনের সঙ্গে রংপুরগামী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাস ও ট্রাকের সম্মুখভাগের ডান দিক দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছে। আহতের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসায় অনেকে সুস্থ হয়ে ফিরলেও পীরগঞ্জ উপজেলার ইমু ও মিলন, বগুড়ার সান্তাহারের মাহাফুজা ও মাইশা, নিহত শিশুর মা হাতীবান্ধার সাবিনাসহ ৫ জনকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার আব্দুল খালেক ও বগুড়ার শামীমাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান সোলায়মান শেখ।
অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার খালাশপীর-নবাবগঞ্জ সড়কে টুকুরিয়ার মোনাইল নামকস্থানে মালবাহী একটি ট্রাকের ধাক্কায় শাহাজাদী বেগম (৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার বড় আলমপুরের শিমুলবাড়ীর মোনাজ্জল মাস্টারের স্ত্রী। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক মোনাজ্জল মাস্টার ও তার শিশু সন্তান আহত হন।
মোনাজ্জল মাস্টার সকালে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে টুকুরিয়ার দুধিয়াবাড়ি মন্ডলপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম।