দুই দিনের ব্যক্তিগত সফরে আজ গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগমনের অপেক্ষায় রয়েছেন জেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে গণভবন থেকে নিজ জেলার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জেলাজুড়ে গ্রহণ করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
দলীয় প্রধানের আগমনকে ঘিরে পুরো জেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সব সংগঠনের নেতাকর্মীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন। সড়ক-মহাসড়কে টাঙানো হয়েছে শুভেচ্ছা ব্যানার ও ফেস্টুন। নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-১ স্বাক্ষরিত পত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ৩টায় সড়ক পথে গণভবন থেকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন। সমাবেশ শেষে মাওয়া থেকে শুক্রবার বিকেল ৫টায় সড়ক পথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হবেন। টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করবেন তিনি। এদিন রাতে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু ভবনে রাত যাপন করবেন।
পরের দিন শনিবার সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টায় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত জিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন, ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। দুপুর ১২টায় নবনির্মিত টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করবেন। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নিজ বাসভবনে জোহরের নামাজ আদায় করবেন এবং মধ্যাহ্নভোজ করবেন। বেলা সাড়ে ৩টায় জাতির পিতার সমাধি সৌধে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করে প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৪টায় সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।