মোংলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ তিনজন রক্তাক্ত যখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ২৯ জুন সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগের সুত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুন মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া গ্রামের বসত বাড়ির কাঠের গোলায় জ্বালানি কাঠ উঠাচ্ছিলেন ঝুনু দাস। এসময় ওই এলাকার শ্যামল দাসের ছেলে সুমন দাস তার ছোট দেবর তাপসকে গালিগালাজ করে। এসময় তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে দেবর তাপসের চোখের ওপর ধারালো দা দিয়ে কোপ দিয়ে যখম করে সুমন দাস। এসময় ঝুনু দাসের স্বামী ঠাকুর দাস ও দেবর তাপস দাসের স্ত্রী কবিতা দাস ঠেকাতে এলে তাদেরকেও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে সুমন দাসের বাবা শ্যামল দাস।
পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতা নিয়ে ঝুনু দাসের স্বামী ঠাকুর দাস (৬০), দেবর তাপস দাস (৪৫) ও তার স্ত্রী কবিতা দাস (৪০) কে আহত অবস্থায় স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে এ বিষয়ে সুমন দাস (২৬) ও তার বাবা শ্যামল দাস (৫২) কে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
ঝুনু দাস সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, এই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন, চিলা ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১,২, ও ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য শিপ্রা হালদার। এই ইউপি সদস্য উস্কানী দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য শিপ্রা হালদারের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি।
এদিকে মোংলা থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তদন্তের পর সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। # #