অভিনেত্রী পরীমণির সঙ্গে নিয়মিত রাত-যাপন করা এবং স্ত্রীর অবর্তমানে রাজারবাগের বাসায় নিয়ে ১৭ ঘণ্টা অবস্থানের প্রমাণ মেলায় চাকরি হারাচ্ছেন আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন।
গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা-২ শাখার উপ-সচিব রোকেয়া পারভীন জুঁই স্বাক্ষরিত স্মারকে বিভাগীয় মামলায় তাকে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ গুরুদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) শৃঙ্খলা-২ শাখার স্মারকটি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। গোলাম সাকলায়েন সর্বশেষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে ঝিনাইদহ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে ১৩ জুন পিএসসিকে চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী ‘অসদাচরণের’ কারণে সাকলায়েনকে ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সাকলায়েনের বক্তব্য জানতে তাকে ফোন এবং এসএমএস পাঠানো হলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ সম্পর্কে পরীমণি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি ব্যক্তিগত পর্যায়ে এখনো আসে নাই, ব্যক্তিগত পর্যায়ে যদি আসে তখন আমি কথা বলব। এখন মনে হয় না আমার কোনো কথা বলার দরকার আছে।’
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, সাকলায়েন ডিবির গুলশান বিভাগে থাকার সময় নায়িকা পরীমণির সঙ্গে ঘটনাক্রমে তার দেখা হয় এবং যোগাযোগ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি নায়িকা পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন করতে শুরু করেন।
বিসিএস পুলিশ ৩০তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করেছেন। অনার্স শেষ করেই বিসিএসে উত্তীর্ণ হন তিনি। এরপর ৩০তম ব্যাচের পুলিশে প্রথম হয়েছিলেন তিনি।