প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও, সেখানে বড় আকারের কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রাখেনি আইসিসি। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা।
প্রথম ম্যাচে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে স্বাগতিকরা। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে মাত্র ৪০ বলে ৯৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন অ্যারন জোন্স।
রোববার (২ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় শুরু হয় ম্যাচটি। এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের পুঁজি পায় কানাডা।
১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোচট খায় যুক্তরাষ্ট্র। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়ে সাজঘড়ে ফেরেন ওপেনার স্টিভেন টেইলর। এরপর প্রথম ওভারের শেষ বলে চার মেরে রানের খাতা খুলেন আন্দ্রিস গোস। পরের ওভারে আসে ৬ রান। তৃতীয় ওভারে দুটি চার মারেন মোনাক প্যাটেল। সেই ওভারে আসে ১৪ রান।
এরপর খানিকটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৪১ রানের সংগ্রহ পায় যুক্তরাষ্ট্র। সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্যক্তিগত ১৬ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মোনাক প্যাটেল। ৮ ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ দাঁড়ায় দুই উইকেটে ৪৮ রান।
এরপর কানাডার ওপর রীতিমতো তান্ডব শুরু করেন আন্দ্রিস গোস ও অ্যারন জোন্স। এই দুই ব্যাটার মিলে পরের ৪৫ বলের মধ্যে ১৬টি বলই সীমানা ছাড়া করেন। এর মধ্যে ১১টি ছক্কা ও ৫টি চারের মার ছিল।
১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে ব্যক্তিগত ৬৫ রানে আউট হন আন্দেরস গোস। ৭টি চার ও তিনটি ছক্কায় সাজান নিজের ব্যক্তিগত ইনিংসটি। ওভার শেষে যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৭৪ রান।
ম্যাচ জিততে শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ১৮ রানের প্রয়োজন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। তবে, সেটি আর দীর্ঘায়িত হতে দেননি জোন্স।
১৮তম ওভারের প্রথম চার বলেই দুটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকান এই ব্যাটার। এতে ১৪ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় যুক্তরাষ্ট্র। ৪০ বলে ৯৪ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন জোন্স। বিধ্বংসী এই ইনিংসটিতে তিনি সাজিয়েছেন ১০ টি ছক্কা ও ৪টি চারের মারে। অর্থাৎ ৯৪ রানের মধ্যে ৭৬ রানই বাউন্ডারিতে নেন তিনি।
এর আগে, ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করে দারুন শুরু করেন দুই কানাডিয়ান ওপেনার অ্যারন জনসন ও নবনীত ডালিওয়াল। এই উদ্বোধনী জুটি করে ৪৩ রান। দলীয় ৪৩ রানের মাথায় অ্যারন জনসনের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ১৬ বলে ২৩ রান করে ফেরেন এই ব্যাটার।
এরপর দলীয় ৬৬ রানে পারগাত সিংয়ের বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় দলটি। ৭ বলে ৫ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর নবনীতকে নিয়ে দারুন জুটি গড়েন নিকোলাস কির্তন। দলীয় ১২৮ রানের মাথায় নবনীতের বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় দলটি। ৪৪ বলে ৬১ রানে বিদায় নেন তিনি। এরপর নিকোলাসের ব্যাটে ভর করে ১৯৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় কানাডা। তবে, প্রতিবেশীদের কাছে পাত্তাই পেলো না দলটি। জোন্স আর গোসের ব্যাটিং ঝড়ে রীতিমতো উড়ে গেলো কানাডা।