বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমানের ভাগ্নে ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত টিপু সুলতানকে মারধর করে এক পা ভেঙে দেয়ায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলমসহ ১৪ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। এরপর মেয়রের ছোট ভাইসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত সোমবার দুপুরে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ছোট বোন রিজিয়া বেগম বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মারধরের শিকার টিপু সুলতানের ডান পা ভেঙে গেছে। তিনি বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- পৌর মেয়রের ছোট ভাই সোহান বাবু, শিহাব হোসেন ও কামরান হোসেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুবেল হোসেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ, মেয়রের ভাগ্নে সবুজ হোসেন, ইরফান রাজা রুকু, জাবেদ হোসেন জুয়েল, মুরাদ জোয়ার্দার বাবলু, সুমন হোসেন, সাগর হোসেন, জুয়েল হোসেন, উজ্জল দাস।
এছাড়া মামলায় আরো ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বেণলা হয়েছে, শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ আদায় করে কালীগঞ্জ শহরের চায়না বেডিং অ্যান্ড কটন শপে পাপস কিনতে যান টিপু। সামনে জায়গা না থাকায় রাস্তার এক পাশে মোটরসাইকেল রেখে দোকানে প্রবেশ করেন। এ সময় পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে এই মোটরসাইকেল কার জানতে চান। তখন টিপু দোকান থেকে বেরিয়ে এসে বলেন মোটরসাইকেলটি আমার।
‘এরপর মেয়র অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। টিপু প্রতিবাদ করলে মেয়র ও তার সঙ্গে থাকা ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুবেল হোসেন তাকে মারধর শুরু করেন। পরে সেখানে মেয়রের ভাই-ভাগ্নেসহ উক্ত আসামিরা উপস্থিত হয়ে পিটিয়ে তার পা ভেঙে দেন।’
পৌর মেয়র আশরাফুল আলমের দাবি, ঘটনার সময় তিনি যানজট নিরসনে রাস্তায় কাজ করছিলেন। রাস্তার ওপর টিপু সুলতানের মোটরসাইকেল রাখা ছিলো। সরাতে বললে তিনিই প্রথমে দুর্ব্যবহার করেন এবং মাথার হেলমেট দিয়ে মারধর করেন।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আজিফ জানান, এ ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। পুলিশ পৌর মেয়রের ছোট ভাই সোহান বাবু, শিহাব ও কামরাণ নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
একাত্তরের দেশ