বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নন্দীগ্রামে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার প্রি-পেইড মিটার লাগানো বন্ধের দাবিতে ফুলবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পীরগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব বাগেরহাটের রামপালে বিসিএস ক্যাডারের ২৫ কর্মকর্তার আমাদের গ্রাম ক্যান্সার প্রকল্প পরিদর্শন বাগেরহাটে ৫ সংষ্কৃতি কর্মী পেলেন গুণিজন সম্মাননা গাইবান্ধায় জুলাই বিপ্লবে আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান ধুনটে ৬ জুয়ারী গ্রেপ্তার তারেক রহমানের নির্দেশনায় শীতবস্ত্র বিতরণ আক্কেলপুরে দুটি এনজিওর অফিসে তালা ঝুলিয়য়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লাপাত্তা দুপচাঁচিয়ার তালোড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

পাহাড়ের কৃষকদের আশার আলো দেখাচ্ছে সূর্যমুখী

অনলাইন ডেস্ক রিপোট
  • আপডেট টাইম রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪
  • ৩০১

পাহাড়ে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্য মূখী ফুলের চাষ। পাহাড়ে আগে সূর্যমুখীর বাগান কম দেখা গেলেও অন্যান্য ফসলের সাথে এখন পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকায় এখন দেখা মেলে সূর্যমুখীর বাগান। সূর্যমূখী ফুল চাষ এখন পাহাড়ের কৃষকদের মাঝে এখন আশার আলো দেখাচ্ছে ।
সূর্যমুখী চাষ সহজ এবং অধিক লাভ হওয়ায় অন্যান্য ফসলের সাথে সাথে পাহাড়ের কৃষক বাড়তি লাভের আশায় কৃষি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বিকল্প চাষ হিসেবে এখন সূর্যমুখী চাষের দিকে ঝুঁকছেন । উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং বাড়তি লাভের আশায় পাহাড়ের কৃষক এখন সূর্যমুখী ফুলের চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের শুকরছড়ির বিভিন্ন বাগানে বাগানে বিস্তীর্ণ জমিগুলো এখন সূর্যমুখীর হলুদ রঙের রঙিন ছটায় ভরে উঠেছে।
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন সাপছড়ি ইউনিয়নের সূর্যমুখী চাষী ইন্দ্রানী চাকমা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে(বাসস) জানান, নিজস্ব পাহাড়ী ও সমতল জমিতে অন্যান্য ফসল চাষাবাদের পরবর্তী সময়ে জমি খালি না রেখে আমরা এখন সূর্যমুখী বাগানের চাষ করছি এবং সুর্যমুখীর ফলনও ভালো দেখা যাচ্ছে। ইন্দ্রানী চাকমা বাসসকে আরো জানান, বর্তমানে তাদের এলাকায় অনেক কৃষকই অন্যান্য ফসল চাষের সাথে সাথে সূর্যমুখী বাগানও করেছেন এবং তাদের দেখে দেখে স্থানীয় অন্যান্য কৃষকরাও সূর্যমুখী চাষে এগিয়ে আসছেন। তাছাড়া সূর্যমুখী বীজ ভাঙানোসহ তেল সংগ্রহের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে অত্যাধুনিক মেশিনের ব্যবস্থা রাখায় স্থানীয় কৃষকদের জন্য আরো অনেক বেশী সুবিধা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শান্তিময় চাকমা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে(বাসস) জানান, রাঙ্গামাটির পাহাড়ী এলাকায় আগের তুলনায় সূর্যমুখী চাষ এখন অনেক বেড়েছে। সূর্যমুখী চাষে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা অন্যান্য ফসলের সাথে সূর্যমুখী চাষে আগের তুলনায় বর্তমানে অনেক আগ্রহী হয়েছেন বলে জানান তিনি। তাছাড়া কৃষি বিভাগের তত্ত্ববধানে মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি,বীজ সংরক্ষণ ও তেল উৎপাদনে সহায়তাসহ কৃষি বিভাগের প্রদর্শনী প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা। আবহাওয়া অনুকূলে হলে এক বিঘা জমি থেকে ৮ থেকে ১০ মণ বীজ পাওয়াা যাবে এবং প্রতি মণ বীজ থেকে ১৭-২০ কেজি তেল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে ।
বর্তমানে সূর্যমুখীর অধিকাংশ গাছেই ফুল ফুটেছে। এখন সূর্যমুখী ফুল পাকতে শুরু করেছে। পাহাড়ের পাদদেশসহ জেলার বিভিন্ন সড়কের পাশেই এখন সূর্যমুখী ফুলের বাগানের সমারোহ দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেক দর্শনার্থী।
পাহাড়ের অনেক পতিত অনাবাদি কৃষিজমি সূর্যমুখী চাষের আওতায় আনার জন্য কৃষি বিভাগ থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরুর পাশাপাশি সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে করা হচ্ছে বলে বাসসকে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মোঃ মনিরুজ্জামান। তিনি জানান, দেশে ভোজ্যতেলের সংকট নিরসনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সূর্যমুখী চাষে পাহাড়ের কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে সার ও বীজ।
পাহাড়ের পরিত্যক্ত জমিকে সূর্যমুখী চাষের আওতায় এনে সূর্যমুখী চাষের সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে স্থানীয় ভোজ্য তেলের চাহিদা পুরণের পাশাপাশি দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদার বিরাট একটি অংশ পূরণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

একাত্তরের দেশ

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com