উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিধিমালা সংশোধন করে এর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে বলা হয়েছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জামানত পাঁচ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
বুধবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনসূচক সইসহ তালিকা জমা দেওয়ার বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এসব সংশোধনী প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী উপজেলা নির্বাচনে এসব বিধান কার্যকর হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ একাত্তরকে জানান, সংশোধিত উপজেলা নির্বাচনের আচরণবিধি ও পরিচালনাবিধি মালায় যে পরির্বতন আনা হয়েছে তা সবই করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
তিনি জানান, সংশোধিত বিধি অনুযায়ী প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এতোদিন তা ছিলো আট ভাগের এক ভাগ। এছাড়া এবার থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীরা জনসংযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাতে পারবেন। প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন।
এর ফলে নির্বাচন ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে কি না প্রশ্নে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বলেন, ইসি এমনটা মনে করছে না।
প্রিজাইডিং অফিসার নির্বাচন বন্ধ করতে পারবেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিধিতে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পষ্টও করা হয়েছে। আরপিও’র ২৫ ধারা অনুযায়ী করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রথমধাপের ১৫৩টি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ইভিএম এবং ব্যালট উভয় মাধ্যমেই হবে।
একাত্তরের দেশ